রাজধানীর নয়াপল্টনে শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিএনপি মহাসমাবেশ করবে। এই সমাবেশে হামলা করার জন্য সরকারি দলের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অনেক অস্ত্রধারীকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি ২০ গাড়ি সশস্ত্র ক্যাডার একজন মন্ত্রীর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম থেকে আনা হয়েছে বিএনপির সমাবেশে হামলা চালানোর জন্য। এসব ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রকামী জনগণকে রুখে দেওয়া যাবে না।’

দলটির সিনিয়র যুগ্ম সহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সরকারী দলের কাছে প্রশ্ন রেখে আরও বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশে বাধা দিয়ে কী লাভ হয়েছে? এত অন্যায় এত হামলা মামলা নির্যাতনের পরও গণতন্ত্রহারা মানুষে মানুষে মুখরিত নয়াপল্টন।’

তিনি বলেন, ‘মহাসমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ। তারপরও এমন কোনো বাধা নেই যা সরকার দেয় নাই। গ্রেপ্তারের হিড়িক চালানো হয়েছে। সরকার বাধা দিয়েছে এ কারণে যে, বাধা না দিলে উত্তাল জনস্রোতে ধাবিত হবে বিএনপির মহাসমাবেশ। যারা রাষ্ট্রীয় এত নিপীড়নকে উপেক্ষা করে আসছে তারাই তো জাতীয় বীর। নেতাকর্মীরা বুকচিতিয়ে সমাবেশে আসছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভরসার শক্তি হচ্ছে জনগণ। জনগণের শক্তির কাছে যেকোনো অপশক্তিই পরাজিত হয়। যারা ন্যায়ের পক্ষে তারা কখনো পরাজিত হয় না।’

রিজভী জানান, ‘এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গত চার দিনে মোট গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৬৮০ জন নেতাকর্মীকে।’

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার, নতুন মামলা ২২টি বলেও অভিযোগ করেন রিজভী আহমেদ।

সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুল করিম শাহিন, মো. মুনির হোসেন, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।